সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ আল আবদাল আলী জানিয়েছেন, রমজান বা ঈদে দেশটিতে কোনো প্রকার কারফিউ জারির আবেদন করিনি কর্তৃপক্ষ। শনিবার সৌদি সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘সময়ে সময়ে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এখন এই কারফিউর কথা সর্বত্র প্রচারিত হচ্ছে। কিন্তু তা সত্য নয়। করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন এবং এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটিগুলো বর্তমান অবস্থার বিষয়ে নিবিড়ভাবে নজর রাখছেন। তারা প্রতিনিয়তই এ নজরদারি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। কিন্তু ঈদে বা রমজানে কোনো ধরনের কারফিউ আরোপ করার অনুরোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়নি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে ড. মোহাম্মদ আল আবদাল আলী বলেন, ‘সমাজের মানুষ যদি সতর্কমূলক ব্যবস্থা মেনে চলে অর্থাৎ তারা যদি মাস্ক পরে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে, বড় ধরনের জন-সমাগম এড়িয়ে চলে এবং যে পরিমান মানুষকে একত্র হতে বলা হয়েছে ওই অনুপাতে যদি তারা জড়ো হয়, তাহলে কোনো ধরনের কারফিউ বা অন্য কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করার দরকার নেই।’
তিনি বলেন, সৌদি আরবে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অর্ধেকের বেশি মানুষের বয়স ৬০ বছরের ওপরে। এছাড়া তিনি সৌদি জনগণকে করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার আহ্বান করেছেন। সৌদি আরবে ৯১ লাখ ২৩ হাজার সাত শ’ ৭৮ জন করোনার টিকা নিয়েছেন।
এদিকে শুক্রবার সৌদি আরবে ১১ করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ছয় হাজার নয় শ’ ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে।সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১০৫৬। এর মাধ্যমে এ দেশটিতে সর্বমোট চার লাখ ১৭ হাজার তিন শ’ ৬৩ জন ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে বর্তমানে ৯৮২৬ জন করোনা রোগী আছেন। তাদের মধ্যে ১৩৩৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সূত্র : আরব নিউজ