সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী চীনের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আশা প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘ফরেন সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে ঢাকায় চীনের বিশেষ দূত দেং সিজুন-এর সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক বৈঠকের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে তাদের (রোহিঙ্গা) ফেরত (মিয়ানমারে) পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, তারা (রোহিঙ্গা) মর্যাদার সঙ্গে নিজ ঘরে ফিরে যাবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে অনেকেই কাজ করছে, তবে তা না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসনের তারিখ বলা সম্ভব নয়। আমরা আশা করি তারা (রোহিঙ্গা) শিগগিরই ফিরে যাবে।’
মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনার সুবিধার্থে চীন তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমার বলা উচিত তারা (চীন) একটি খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছে এবং তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে।’
এদিকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন এবং আজ বুধবার তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে, বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ১.১ মিলিয়নেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের সামরিক দমনের পরে এখানে চলে এসেছে, যাকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃত উদাহরণ’ এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠী এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। গত সাড়ে পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গাও দেশে ফেরত যায়নি।
মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা দুবার ব্যর্থ হয়েছে।