রিমান্ডে হত্যা মামলার নারী আসামিকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠায় উজিরপুর মডেল থানার ওসি ও পরিদর্শককে (তদন্ত) প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরে ওসি জিয়াউল আহসান এবং পরিদর্শক (তদন্ত) মাইনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়। অভিযুক্ত পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
ডিআইজি আক্তারুজ্জামান বলেন, দায়িত্বে অবহেলায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে আদালতের নির্দেশে রবিবার দুপুরে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সাইফুল ইসলাম ওই নারী আসামির শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জামবাড়ি এলাকা থেকে বাসুদেব চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বরুণ চক্রবর্তী ওইদিনই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নির্যাতনের শিকার নারীকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদনের পর গত ৩০ জুন বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজিরপুর আমলি আদালত ওই নারী আসামির দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ২ জুলাই ওই নারীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় আদালতে ওই নারী তার ওপর পুলিশ সদস্যরা শারীরিক এবং যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। আদালত একজন নারী কনস্টেবল দিয়ে তার দেহ পরীক্ষা করে শারীরিক এবং যৌন নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পান। পরে নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করে প্রতিবেদন জমার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।