রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৩৯ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আসাদুল্লা-হিল-গালিবের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তবে প্রথম বর্ষ পাস করলেও দ্বিতীয় বর্ষের গণ্ডি পেরোতে পারেননি তিনি। ড্রপ আউট হয়ে ছাত্রত্ব হারিয়েছেন। ছাত্রত্ব না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষ দখল করে থাকতেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাদার বখশ হলে ঢোকেন আগের কমিটির সহসভাপতি কাজী আমিনুল হক লিংকন, নতুন কমিটির সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডন, তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকিসহ তাঁদের অনুসারীরা। পরে তাঁরা আসাদুল্লা-হিল-গালিবের কক্ষসহ আশপাশের কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর করেন। কক্ষের দরজা, জানালা, চেয়ার, টেবিল, ফুলের টব ভাঙচুর করে তাঁরা হল ছেড়ে যান।
তবে কক্ষ ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে নতুন কমিটির সহসভাপতি তাওহীদুল ইসলাম দুর্জয় বলেন, ‘আমি কারও রুমে যাইনি।’
এ বিষয়ে জানতে সহসভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এ বিষয়ে জানতে নতুন কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
হলে ভাঙচুরের বিষয়ে মাদার বখশ হল প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসেন বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর আমি তাৎক্ষণিক হলে আসি। এরপর কয়েকজন সহকারী প্রক্টর সেখানে উপস্থিত হন। তবে আমরা ভাঙচুরকারীদের পাইনি। যারা হলের এই ক্ষতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষক আমিরুল ইসলাম কনককে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। তাঁদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’