
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শেষ দিনে সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবন। দিনের প্রথম প্রহরে নিবন্ধনের আবেদন দিয়েছেন গণদলের চেয়ারম্যান এটি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী।
রোববার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয় দলটি। ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর দলটির আত্মপ্রকাশ হয়।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মান ও সুস্থধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় গণদল প্রত্যাশা করে- নতুন পথের সহযাত্রী হিসেবে আপনাদের (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন) এর সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছে দলটি। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দমন-পীড়নের কারণে আমদের নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হইনি বলে জানান দলটির চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা দেশব্যাপি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে সমর্থ হয়েছি। কমিশন নির্ধারিত জেলা, উপজেলা ও পৌর-মহানগর কমিটি সমাপ্ত করা সম্ভব না হলেও, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হিসেবে গণদল আগে রাষ্ট্র সংস্কার ও বিচার এবং এরপরই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষের শক্তি হিসেবে দলীয় নিবন্ধন প্রত্যাশা করছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র সঙ্গে থেকে যুগপৎ আন্দোলন করেছি বলেই ফ্যাসিষ্ট সরকার দলের নিবন্ধন আবেদন। পূর্বে জমা দিতে বাধা দিয়েছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করায় সকল রাজনৈতিক দলের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় প্রতীক হিসেবে উদিত চাঁদ বরাদ্দের আবেদনপত্রের ফটোকপি।
বেলা ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশনে এসেছেন জনতার দল, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বিকেলে আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন জমা দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদন চেয়ে গত ১০ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ইসি। ওই বিজ্ঞপ্তিতে সময় দেওয়া হয়েছিল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। সময়সীমার মধ্যে ৬৫টি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। এনসিপিসহ ৪৬টি দল নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়ায় সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করে। তাদের আবেদন বিবেচনায় ২২ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ায় ইসি।