রাজধানীর যাত্রীবাহী বাসে রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ই-টিকিটিং। মূলত একটি পজ মেশিনের মাধ্যমে বাসে বসেই নির্দিষ্ট দূরত্বের টিকিট কাটা যাবে। এতে বাড়তি ভাড়া নেয়া, ওয়েবিল চেকিংয়ের অতিরিক্ত ভাড়ার যাত্রী হয়রানি বন্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি লাভবান হবেন মালিকরাও; এমনটি মনে করছে বাস মালিক সমিতি।
যাত্রীবাহী বাসে দীর্ঘদিন ধরেই বাড়তি ভাড়া, ওয়েবিলের চেকপোস্ট পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণসহ নানা হয়রানির অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের। আবার বাস মালিকরাও প্রত্যাশামাফিক আয় পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করে আসছিলেন। এই সমস্যা দূর করতে রাজধানীতে শুরু হচ্ছে ই-টিকিটিং।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ই-টিকিটিংয়ের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। বলেন, প্রাথমিকভাবে মিরপুর কেন্দ্রিক ৩০টি বাস কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে। ধারাবাহিকভাবে রাজধানীর সব বাস কোম্পানিকেই এর আওতায় আনা হবে ২০২৩ এর জানুয়ারির মধ্যে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, মিরপুর থেকে ফার্মগেট যাবে কেউ, রাস্তার মাঝখানে নেমে গেলেও তাকে একই ভাড়া দিতে হয়। এসব ঘটনা আমরা খুঁজে পেয়েছি। ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে এসব একদম বন্ধ হয়ে গেল। রোববার থেকে মিরপুর কেন্দ্রিক ৩০টি বাস কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকার সকল বাসকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হবে।
মূলত একটি পজ মেশিনের মাধ্যমে বাসে বসেই কাটা যাবে নির্দিষ্ট দূরত্বের টিকিট। এতে সারাদিন কত সংখ্যক যাত্রী মোট কত টাকা ভাড়া দিয়েছেন তার তথ্য পেয়ে যাবেন মালিকরা। আর চার্ট অনুযায়ী মেশিনে ছাপানো টিকিটের মাধ্যমে ভাড়া প্রদান করবেন যাত্রীরা। ই-টিকিটিং এর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাস মালিক, পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মচারী এমনকি যাত্রীরাও। তবে সঠিক সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই পদ্ধতি কতদিন সচল থাকে সেটাই প্রশ্ন সবার।