মুহাম্মদ নুরুল আলম,চট্টগ্রামঃ মানবজাতিকে হেদায়তের জন্য মহান আল্লাহ পাক এক এক যুগে এক এক জন হাদী বা পথ প্রদর্র্শক প্রেরণ করে থাকেন। তারা যুগের সংস্কারের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ সমস্ত হাদীরা তত বেশী উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন হয় যারা যত বেশী নবী (দঃ) এর প্রেমে নিজেদেরকে নিবেদন করতে পেরেছেন। বেলায়তের পথপরিক্রমায় হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) নবী প্রেমের পথ ধরে তাওয়াজ্জুহর মাধ্যমে মানবজাতিকে হেদায়তের শাশ^ত শান্তির সোনালী পথের সন্ধান দিয়েছেন তা চির স্মরণীয়। সভ্যতার চরম উৎকর্ষতার যুগে এসে আমরা পেয়েছি এমন একজন কালজয়ী মনীষী যিনি কাগতিয়ার নিভৃত পল্লি থেকে যে আধ্যাত্মিক বিপ্লবের সূচনা করেছেন তা বিশ^ময় ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার পথভ্রষ্ট যুবক কাগতিয়ার মহান মোর্শেদ আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসুল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর অনুসৃত তরিক্বতে এসে নূরে মোস্তফা গ্রহণের মাধ্যমে আলোকিত মানুষে পরিণত হচ্ছে।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির আয়োজনে গত ২৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ৬৭তম পবিত্র ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম মাহফিলে উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে বক্তারা এ কথা বলেন। মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল হক, মাওলানা মোহাম্মদ এরশাদুল আলম, মাওলানা মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন প্রমূখ।
মিলাদ-ক্বিয়াম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।