গত ২৮ এপ্রিল বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি থেকে হাওয়াই যাচ্ছিলেন এক সন্তানসম্ভাবা নারী। পারিবারিক অবকাশযাপনে যেতে বিমানে ওঠেন তিনি। ঘণ্টাব্যাপী এই ভ্রমণে হঠাৎ তার প্রসববেদনা ওঠে।
ওই নারী নিজের অজান্তেই এমন একটি ফ্লাইটে উঠেছিলেন, সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরাও ছিলেন। কাকতালীয় হলেও একজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল ঐ বিমানে ছিলেন।
তিনি গর্ভধারণের ২৯ সপ্তাহের মাথায় একটি পুত্রসন্তানের মা হলেন। খবরে বলা হয়, লাভিনিয়া মৌঙ্গা নামের ওই নারীর যখন প্রসব ব্যথা ওঠে, তখন ‘ডাক্তার’ চেয়ে অনুরোধ করা হয়।
হওয়াইয়ের চিকিৎসক ডালে গ্লেন বলেন, ফ্লাইটটি অর্ধেক পথ পারি দেওয়ার পরেই একটি জরুরি কল আসে। এ ব্যাপারে আমার আগে থেকেই অভিজ্ঞতা ছিল। বিমানে কোনো চিকিৎসক আছেন কিনা বলে যখন তারা জানতে চাচ্ছিলেন, আমি সাড়া দিয়ে সহায়তায় এগিয়ে যাই।
বিমানে এ সময়ে লানি বামফিল্ড, আমান্ডা বিডিং ও মিমি হো নামে তিনজন নার্স ছিলেন। তারা নর্থ কানাসা সিটি হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে কর্মরত।
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে মেডিকেল চিকিৎসা সামগ্রী ছিল না। তাই একটু সৃষ্টিশীল হতে হয়েছে। যেমন নবজাতকের নাড়ি কাটতে ও বাঁধতে তারা জুতার ফিতা ব্যবহার করেছেন। আর হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করতে ব্যবহার করেন স্মার্টঘড়ি। ডালে গ্লেন বলেন, বিমানের খুবই সীমিত আবদ্ধ একটি জায়গায় আমাদের কাজ করতে হয়েছে। খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু সবাই সহায়তা করায় আমরা ভালোভাবেই কাজটি করতে পেরেছি।
একটি ভিডিও টিকটকে এ সংক্রান্ত ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, বিমানের ক্রুরা যখন নতুন মাকে অভিনন্দন জানান, তখন এক যাত্রী কলতালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।