মো. রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর-বেনাপোল হাইওয়ে সড়কের দুই ধারে শতবর্ষী রেইনট্রি গাছে লাগানো হয়েছে উপরের ছবির মতো রেড স্টিকার। যা কিনা সড়কে চলাচলকারী ছোট বড় যানবাহন গুলো রাতের আঁধারে দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে সহয়তা করবে।
ছবিটির দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় রেড স্টিকারটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে গাছে লাগানো স্টিকার গুলো বর্তমানে অরক্ষিত থাকার কারনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যকরি পদক্ষেপটি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, যশোর-বেনাপোল সড়কের ঝিকরগাছা থেকে শুরু করে বেনাপোল পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারের রেইনট্রি গাছে এই ধরনের রেড স্টিকার লাগানো আছে। পাতলা টিনের উপরে সমপরিমাণ স্টিকার দিয়ে গাছগুলোতে পেঁচানো।
সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গুলো দুইদিক থেকেই রাতের আলোয় রেড স্টিকার দেখতে পারবে। ফলে রাতে চলাচলে সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
বর্তমানে দেখা গেছে অধিকাংশ গাছে লাগানো স্টিকার গুলো উঠে গেছে। কোনটা অর্ধেক, কোনটা দুই ভাগ উঠে গেছে, আবার কোন কোন গাছের পুরো স্টিকারটি উঠে গিয়ে সাদা টিন পড়ে আছে।
কোন কোন গাছের স্টিকার সড়কের পাশে বসবাসকারী মানুষেরা গোবর গোল গোল করে গাছে লাগিয়ে শুকানোর জন্য ব্যবহার করছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই স্টিকারটির কোন মূল্য নেই তাদের কাছে।
অনুসন্ধান জানা যায়, স্টিকার উঠে যাওয়ার মূলে রয়েছে সড়কের কোল ঘেঁষে বসবাসকারী পরিবারের ছোট ছোট ও উঠতি বয়সের শিশুরা।
স্ক্রুড্রাইভারের সাথে ছোট ছোট ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে স্টিকার গুলো তুলে নষ্ট করছে। খেলার কাজে ব্যবহার করছে তারা। এভাবে চলতে থাকলে আর কিছুূদিনের মধ্যেই বাকি গাছের রেড স্টিকার গুলো খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যকরি পদক্ষেপটি টিকিয়ে রাখতে এবং ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
শুধু সচেতন মহল নয় সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষেরা বলেন, গাছে লাগানো স্টিকার গুলো খুবই প্রয়োজন। এই স্টিকারের সাথে মানুষের মুল্যবান জীবন জড়িয়ে আছে।
পরিবহন ও ছোট বড় যানবাহনের চালকরা জানান, এভাবে স্টিকার গুলো উঠে যাওয়ায় আমরাও এটা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। এগুলো রাতে আমদের পথ চলতে সহযোগিতা করে। কতৃপক্ষের দৃষ্টি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, যেহেতু এটা বাহিরের জিনিস সেহেতু এটা অসংরক্ষিত অবস্থাই থাকবে। তবে চোরে চুরি করে নিয়ে যাবে বা কেউ ছিড়ে ফেলবে এটা অপরাধ। এবিষয়ে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করবো।