যশোরের বিরাট রাজার ঢিবি। মণিরামপুরের খেদাপাড়ার এই ঢিবিকে ঘিরে রয়েছে কয়েক পুরুষের গল্প-কল্পনা। স্থানীয়দের কয়েক পুরুষের দাবি, এই ঢিবিতেই হাজার বছরেরও বেশ সময় আগে ছিল, প্রতাপশালী বিরাট রাজার বাড়ি।
এখনও সেখানে গুপ্তধনের সন্ধান মিলতে পারে, এমন স্বপ্নে বিভোর স্থানীয় অনেকে। তাদের কাছে এর আরেক নাম ‘ধনপোতা ঢিবি’। প্রকৃত ইতিহাসের খোঁজে সম্প্রতি এর খনন শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর। ধারণা করা হচ্ছে, পুরো খনন শেষে উদঘাটন হতে পারে জেলার গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস।
গত ১০ ডিসেম্বর থেকে মণিরামপুরের খেদাপাড়ায় এই ‘বিরাট রাজার ঢিবি’র খনন শুরু হয়। খননকৃত ঢিবিটির পাশেই রয়েছে আরেকটি ছোট ঢিবি। এলাকাবাসীদের ধারণা, বিরাট রাজা সেখানে বিচারিক কাজ সম্পাদন করতেন
খননের দ্বিতীয় দিন একটি দেয়ালের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে দেখা মেলে আরেকটি দেয়ালের। গাঁথুনিতে ব্যবহার হয়েছে দুই ধরনের ইট। এছাড়া মৃৎপাত্র, পাথরের টুকরো, পশুর হাড় ও পেরেক পাওয়া গেছে। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে উৎসাহী লোকের ভিড় লেগে আছে এই নিদর্শন ঘিরে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর কর্মকর্তাদের মতে, পুরো খনন কাজ শেষ হলে জানা যাবে জেলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। খুলনার প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমিন বলেন, খনন এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই কিছু বলা সময় আসেনি। তবে, আশা করা হচ্ছে, খননে প্রাপ্ত ফলাফল যশোরের আদি ইতিহাস পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, ঢিবিতে পাওয়া ইট ও গাথুনির সাথে কেশবপুরের ভরত রাজার দেউল, দোনার এলাকার দমদম পীরের ঢিবির ইট ও গাথুনির মিল রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা, এটি ১২শ’ বছর আগের কোনো স্থাপনা।