
তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতে রিপন কালিন্দী (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার জাগছড়া এলাকার কয়েল বাড়ি এলাকায় এই বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। রিপন কালিন্দী ওই এলাকার চা শ্রমিক নরেশ কালিন্দীর ছেলে বলে জানা গেছে। তার স্ত্রী ৭ মাস মাসের গর্ভবতী এও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
এর আগে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার ভুনবীর চৌমোহনা এলাকায় ইমন (১২) নামে এক বালক বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। গতকাল পৃথক জায়গায় বজ্রপাতের ঘটনায় ৭ জন গুরুতর আহত হয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মিটুন সিং রাউতিয়া বলেন, ‘আজ দুপুর দেড়টার দিকে বৃষ্টির সময় বাড়ির উঠানো বের হয়েছিলো রিপন। এসময় বজ্রপাতের শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। নিহতের লাশ বাড়িতেই রয়েছে। তার স্ত্রী ৭ মাসের গর্ভবতী।’
এদিকে শুক্রবার মারা যাওয়া ইমনের প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘উপজেলার আলিশার কুল এলাকার মালেক মিয়ার ছেলে ইমন ভুনবীর চৌমহনা এলাকায় একটি মিলে কাজ করতো। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টির সময়ে মিলের খোলা জায়গা থেকে জিনিসপত্র সরানোর জন্য গেলে বজ্রপাতে শিকার হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল হাসান গতকাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ইমন নামের এক শিশুকে ভুনবীর এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। সে বজ্রপাতে মারা গেছে।’
শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সন্দ্বীপ তালুকদার বলেন, ‘বজ্রপাতে গতকাল মারা যাওয়া ইমনের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়েছে। শনিবারের মৃত যাওয়া ব্যক্তির বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মিঠুন সরকারী সহযোগিতা ২০ হাজার টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দেন ও পরিবারের খোঁজ খবর নেন।