সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা বাড়ানোর ঘটনাকে ভালোভাবে নেয়নি বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক প্রতিবাদের পর এবার দেশটির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।
নিউইয়র্কের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে জরুরি ভিত্তিতে দেয়া এ চিঠিতে পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক না করতে দেশটির প্রতি ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘকে তাগিদ দেয় বাংলাদেশ।
গত সপ্তাহে হঠাৎ করে কক্সবাজার সীমান্তে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সেনা সদস্য বাড়ানোর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। মাছ ধরার ট্রলারের করে গোপনে তারা সৈন্য সমাবেশ শুরু করলে ১৩ সেপ্টেম্বর দেশটির ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারই অংশ হিসেবে এবার ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নজরে এনেছে বাংলাদেশ।
এ চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে অবগত না করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েন, বেসামরিক ট্রলারে করে সৈন্যদের পারাপারের কারণে ভুল বোঝাবুঝি এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তে প্রতিকূল ঘটনা ঘটতে পারে। আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে মিয়ানমারের গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষের ঘটনাগুলো এ এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
গত কয়েক মাসের ঘটনা উল্লেখ করে সীমান্তে মিয়ানমারের মোতায়েন করা সৈন্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানায় বাংলাদেশ। বিষয়গুলো জরুরিভিত্তিতে সদস্যদেশগুলোর নজরে আনতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন।
উৎসঃ সময় নিউজ