দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের চিন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে নতুন করে সাধারণ মানুষের বাড়ি-ঘরে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বহু বাড়ি-ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চিন রাজ্যের থান্টলাং শহরে স্থানীয় আত্মরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। এরপরই ভারী গোলাবর্ষণ চালায় সেনারা।
থান্টলাং থেকে পালিয়ে আসা এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হয় ফরাসি সংবাদমাধ্যম এএফপির। তিনি বলেন, এক সেনা সদস্যকে আটকের জেরে ঘটনার সূত্রপাত হয়। ‘ওই এলাকা প্রচণ্ড গোলাগুলির কথা জানতে পেরেছি। সাধারণ মানুষের উপর কামান নিয়ে হামলা চালিয়েছে সেনাবাহিনী। এতে ৮০ থেকে একশ’ ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে’।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও জানান, ‘আমরা জানি না আমাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা’। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক ছবিতে দেখা গেছে, পাহাড়ের ভেতরে থাকা বাড়ি-ঘর থেকে কালো ধোঁয়া ছড়াতে দেখা গেছে।
হামলার নিন্দা জানিয়ে দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, সেনারা হামলার পর কমপক্ষে ১০০ বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। স্থানীয়রা সেখানে আর ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এই সংস্থাটি।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন জায়গায় জ্বালাও পোড়াও অব্যাহত রেখেছে সেনারা। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজারের বেশি মানুষ।