রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এতে বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর ৬ নম্বর সেকশন বাজারের পশ্চিম পাশে মুকুল ফৌজ মাঠে এ হামলার শিকার হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। হামলার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন তারা।
বিএনপি নেতারা জানান, বিকাল ৩টায় মুকুল ফৌজ মাঠে অনুষ্ঠেয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল মিছিল এসে নেতাকর্মীরা জড়ো হন মাঠে। সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুতিও সারেন তারা। দুপুর পৌনে ২টার দিকে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে কয়েকশ অজ্ঞাত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে তারা মঞ্চ, পার্কিং করা মোটরসাইকেল ও আশপাশের দোকান ভাঙচুর করে। তাদের অতর্কিত হামলায় সমাবেশে আসা বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হন। সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায় তাদের।
দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এ সময় নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করেন তারা।
হামলার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে আড়াইটার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিরপুর ৬ নম্বর ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন। এ সময় তারা প্রধান সড়কের যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। মিছিল মিরপুর ১০ নম্বরের কাছে গেলে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
এ সময় ওই সড়কে ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যান চলাচল ও দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। পথচারীরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটোছুটি করেন।
হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক যুগান্তরকে বলেন, এ হামলা পরিকল্পিতভাবে করেছে আওয়ামী লীগ। এই মাঠে তো আমাদের সভা করার অনুমতি ছিল। এরপরও ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। পুলিশ আমাদের প্রোটেকশন না দিয়ে নিরব থেকেছে। এ হামলায় আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত ও রক্তাক্ত হয়েছেন। এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, এ জনসভা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই মিরপুরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। পল্লবীতে ১২ নম্বর ‘ডি’ ব্লক ঈদগাহ মাঠে জনসভা করার জন্য আবেদন করেছিল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই।
একই স্থানে ও একই সময়ে বৃহস্পতিবার সভাটির অনুমতি চেয়ে দুপক্ষই মিরপুরের উপপুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কাছে চিঠি দেন।
তবে আওয়ামী লীগকে ওই মাঠে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে বিএনপিকে ৬ নম্বরের মুকুল ফৌজ মাঠ নির্ধারণ করে দেয় ডিএমপি।