এই প্রথম কোনো নেতাকে ‘ডোপ টেস্ট’ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক তোফা আহম্মেদের একটি মাদক সেবনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় তার ডোপ টেস্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
একই সঙ্গে তার বাবা-মায়ের লিখিত দরখাস্ত কমিটির দফতর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু জানিয়েছেন, সম্প্রতি মহানগর কমিটির নেতা তোফা আহম্মেদের একটি মাদক গ্রহণের ছবি ভাইরাল হলে আমরা সাংগঠনিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই নেতাকে ডোপ টেস্ট ও বাবা-মায়ের লিখিত দরখাস্ত জমা দিতে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি বিষয়টির সমাধান কিংবা প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তোফা আহম্মেদকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ডোপ টেস্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পরই আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের দীর্ঘ ইতিহাস অত্যন্ত স্বচ্ছ ও গর্ব করার মতো। বিশেষ করে গত দেড় যুগে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ে কোনো অভিযোগ উঠেনি। কিন্তু দলের কারও কারও ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে আমরা সাংগঠনিক তদন্তসাপেক্ষে ত্বরিত ব্যবস্থা নিয়েছি।
রিয়াদ বলেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এক সময়ের কিংবদন্তি ও বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমানের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কারও ব্যক্তিগত দায় ছাত্রলীগ নেবে না। কেউ যদি অপরাধ করে আর তা যদি প্রমাণিত হয়- ছাত্রলীগ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম বলেন, ছাত্রলীগের এ নির্দেশনা ও উদ্যোগ আমি মনে করি দেশের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত। এর আগে ছাত্রলীগের কোনো নেতাকে ডোপ টেস্টের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিনা আমার জানা নেই।