তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: কোরআনে কারিম মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। ইসলামি ইতিহাস অনুসারে, আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নিকট অবতীর্ণ হয় পবিত্র কোরআন। কোরআন মুসলমানের সংবিধান। একজন মুসলমান হিসেবে তাই আমাদের কোরআন পড়া উচিত, কোরআন বুঝা উচিত, কোরআনের বিধানমতে জীবন পরিচালনা উচিত।
যুগ যুগ ধরে বহু মানুষ কোরআন নিয়ে গবেষণা করেছেন, কোরআনের সেবা করেছেন, কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছেন, মানুষকে কোরআন শিখিয়েছেন,অনেকেই শিখছেন।
পবিত্র কোরআনের খেদমতের এসব কাজের ধারাবাহিকতায় মাত্র ৪ ও ৭ মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দুই শিশু মাহির হাসান (১১) ও শাফায়াত আহমদ (১২)। ওই দুই শিশুর মধ্যে মাহির ৪ মাস ও শাফায়াত ৭ মাসে হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
মাহির উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে ও শাফায়াত রিকশাচালক শায়খুল ইসলামের ছেলে। তারা উভয়ই কুলাউড়া শহরের আহমদাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
আহমদাবাদ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুর রহমান ইমরান জানান, পৃথিবীর একমাত্র গ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরীফ। যাকে পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষ বুকে ধারণ করে থাকে। হাজার হাজার শব্দ আর শত শত পৃষ্ঠার এই গ্রন্থ সকলে মুখস্থ করতে পারে না, আর পারলেও ৪/৫ বছর তো লাগবেই। আলহামদুলিল্লাহ্! মাত্র চার মাসে মাহির ও সাত মাসে শাফায়াত পুরো কোরআন শরীফ হেফজ (মুখস্ত) করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও জানান, মাহির ও শাফায়াতের ঐকান্তিক ইচ্ছা, শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং তাদের পরিবারের সহযোগিতায় আল্লাহ্ তাদেরকে খুব শৈশবেই এই মহাপুরস্কারে ভূষিত করেছেন। মাহির ও শাফায়াত এবং তার মাদ্রাসার জন্য মাওলানা মাহমুদুর রহমান ইমরান দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।