বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ এক ফসলি জমিতে মাছের খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বরিশালের গৌরনদী-আগৈলঝাড়া উপজেলার চার গ্রামের ছয় শতাধিক কৃষক। এক ফসলি ধানের জমিতে বর্ষার মৌসুমে মাছ চাষ করে লাভবান হওয়ায় আশপাশের কৃষকরাও মাছ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে মাহিলাড়া ইউনিয়নের বাঘার বিলের ১৫০ একরের এক ফসলি বোরো ধানের জমি মৎস্য ঘেরের আওতায় নিয়ে আসা হয়।
পরবর্তীতে বাঘার আদর্শ মৎস্য সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু হয়। বোরো আবাদের শুরুতেই ঘের থেকে উঠিয়ে আবার ধান রোপন করে আসছেন কৃষকরা।
সুবিধাভোগী লিটন কবিরাজ, পরিমল মাঝি ও বজলুল হক মৃধা সহ একাধিক কৃষকরা জানান, মাছ চাষের পূর্বে বাঘার বিলের ২০ শতক জমির আগাছা পরিস্কার ও চাষ খরচ হিসেবে একেকজন কৃষকের প্রায় তিন থেকে চার হাজার টাকা করে খরচ হতো।
সমবায় সমিতির মাধ্যমে মাছ চাষের কারনে এখন আর কোন কৃষকের জমির আগাছা পরিস্কার ও চাষের জন্য টাকা দিতে হয়না। ফলে প্রতিবছর একেকজন কৃষকের আগাছা পরিস্কার ও চাষের টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।
তারা আরও জানান, মৎস্য চাষের কারনে জমিতে উর্বরতা ফিরে আসায় ধান চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসছে। ফলে গৌরনদী উপজেলার বাঘার, শরিফাবাদ, ভীমেরপাড় সহ পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার দত্তেরাবাদ গ্রামের কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
বাঘার আদর্শ মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মৃধা জানান, নিরাপদ পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মৎস্য উৎপাদনে জোর দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেলক্ষে বাঘার গ্রামের এক ফসলি বিলটি মাছ চাষের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিলটিতে বর্ষার মৌসুমে মৎস্য চাষ এবং বোরো মৌসুমে ধান চাষ করা হচ্ছে। বিলে মাছ চাষের ফলে স্থানীয়দের পুষ্টি চাহিদা পূরনের পাশাপাশি জমির মালিক এবং সমিতির সদস্যরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাসার জানান, এ বছর ওই বিলে বিনামূল্যে মাছের পোনা সরবরাহের পাশাপাশি মৎস্য চাষ সম্প্রসারনে চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।