নারায়ণগঞ্জের তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদের পাশের গ্যাস লাইনে আরও নতুন ৬টি লিকেজ (ছিদ্র) পেয়েছেন তিতাসের শ্রমিকরা।
বুধবার সন্ধ্যায় তৃতীয় দিনের মতো খোঁড়াখুঁড়ির পর তিতাসের তদন্ত কমিটির প্রধান ডিজিএম প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব তালুকদার গণমাধ্যমের সামনে এ তথ্য জানান। সন্ধ্যায় তিতাসের তদন্ত কমিটির প্রধান ডিজিএম প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব তালুকদার গণমাধ্যমের মাটি খোঁড়া শেষে বলেন, অনুসন্ধানে পাওয়া ৬টি লিকেজ মেরামত করে সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ গ্যাস লাইনে গ্যাস সরবরাহ চালু করা হয়।
পরে মসজিদের ভেতরে পানি ঢেলে গ্যাসের উদগিরণ বা বুঁদবুঁদ বের হয় কিনা তা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও কোনো উদগিরণ হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, গত তিন দিন ধরে মসজিদের উত্তর পাশে ও পূর্ব পাশে এবং দক্ষিণ পাশে বেশ কয়েকটি গর্ত খুঁড়ে লিকেজ অনুসন্ধান করা হয়। বুধবার সকাল থেকে মসজিদের পূর্ব পাশের অংশে ভেকু দিয়ে ও শ্রমিক দিয়ে মাটি খুঁড়ে মসজিদের উত্তর পাশের ৪নং খুটির কলাম করার সময় যে ফাউন্ডেশনের কাজ করা হয়েছে- ওই সময় তিতাস গ্যাসের সরবরাহের মূল লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মসজিদ নির্মাণের সময় গ্যাস লাইনের সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। ফাউন্ডেশন দেয়ার সময় গ্যাস পাইপ লাইন থেকে ৬ ইঞ্চি রাস্তার ভেতরে এসে ৪নং খুঁটির ফাউন্ডেশন দেয়া হয়েছে। ওই সময় মূল গ্যাস লাইনটি মাটির উপরে রেখে মাটির নিচ দিয়ে ফাউন্ডেশনের কাজ করতে গিয়ে মূল সরবরাহ গ্যাস লাইনে রেপিন নষ্ট করে ফেলে; যা দীর্ঘদিন মাটির সংস্পর্শে এসে ফুটো বা ছিদ্র হয়েছে। সেখান থেকে লিকেজ হয়ে গ্যাস নির্গত হয়েছে এবং অন্যান্য ৬টি জায়গায় লিকেজ সৃষ্টি হয়েছে; যা দিয়ে গ্যাস নির্গত হয়ে মাটির বিভিন্ন স্তর ভেদ করে মসজিদের ভেতরে বা বাইরে দিয়ে গ্যাস বের হয়েছে। আব্দুল ওয়াহাব আরও জানান, মসজিদের মধ্যে আমরা ২টি বিদ্যুৎ লাইন পেয়েছি, যার একটি অবৈধ। আমরা মসজিদ কমিটির সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্য ফেইজ দিয়ে তারা মসজিদের বিদ্যুৎ চালাতেন।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, লাইন চেঞ্চওভার করতে গিয়ে স্পার্ক থেকেই জমে থাকা গ্যাসের মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তিনি জানান, সরেজমিন অনুসন্ধানে যা পাওয়া গেছে তা রিপোর্টে উল্লেখ করে আগামীকাল তিতাসের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দফতরে দাখিল করা হবে।
উৎসঃ যুগান্তর