প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়েই পরকীয়া প্রেমের টানে ভাসুরের ছেলের হাত ধরে প্রকাশ্যে ঘর ছাড়ল দুই সন্তানের জননী আপন চাচি। কারও কোনো বাধাই মানল না এই প্রেমিক যুগল। সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করেই তারা বাড়ি ছাড়ল।
ভাসুরপো ও চাচি বিমানে চেপে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হানিমুন করতে গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওই গৃহবধূর প্রথম স্বামী মো. আব্দুল আলীম। তিনি তার স্ত্রী ও তার ভাতিজার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন।
এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের ডাউটিয়া গ্রামে।
জানা গেছে, সোমবার সকালে দৈহিক মেলামেশারত অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের কাছে ধরা পড়ে গেলে ভাসুরপো ও চাচির পরকীয়ার ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। লোকলজ্জা আর সামাজিক বিচার সালিশের ভয়ে মঙ্গলবার তারা একে-অপরের হাত ধরে প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। প্রথম স্বামীকে তালাক না দিয়ে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ করায় স্ত্রী ও তার ভাতিজার বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেছেন প্রথম স্বামী আব্দুল আলীম।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাউটিয়া গ্রামের মো. আব্দুল আলীম বিয়ে করে স্ত্রী রূপালী আক্তারকে ঘরে তোলার পরই আপন ভাতিজা মো. জুয়েল রানার সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গোপনে চলতে থাকে মেলামেশা। সোমবার বিকালে জুয়েল ও রূপালী গোপন অভিসারে মিলিত হলে পরিবারের লোকজনের কাছে ধরা পড়ে যায়। এলাকাবাসী জানার ভয়ে তাদের ঘরে বন্দি করে রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে তারা বাড়ি ছাড়ে।
পরে জানা যায়, গোপনে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্বামী জুয়েলকে নিয়ে বিমানে করে কক্সবাজার হানিমুনে গেছেন রূপালী। এ বিষয়ে রুপালীর স্বামী আব্দুল আলীম বলেন, ২০০৯ সালে আমি রূপালীকে কাবিন রেজিস্ট্রিমূলে বিয়ে করি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তানও রয়েছে। এরপরও আমার স্ত্রী আমাকে তালাক না দিয়েই পরকীয়া প্রেমিককে গোপনে বিয়ে করেছে।
এ ব্যাপারে সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহার আলী বলেন, গৃহবধূর পিতা-মাতা এসেছিলেন আমার কাছে। তারাই আমার কাছে এ ঘটনাটি জানান। তারা বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো বিহিত করার উপায় নেই।