বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়াতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে। প্রবাসী আয়ের লেনদেনে অবৈধ পন্থা পরিহার ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট। প্রথমবারের মতো দুবাইয়ে আয়োজিত এই ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন ৫০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীদের এই অবদান আমরা মূল্যায়ন করতে চাই। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় ৫০ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে সম্মাননা প্রদান করবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। মূলত অবৈধ পন্থা পরিহার ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহিত করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে মিশন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।’
বাংলাদেশ কনস্যুলেট সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীদের অবদান মূল্যায়ন করতে দেশটির দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেট গত আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করে। সেই অনুযায়ী অসংখ্য প্রবাসী এতে আবেদন করেন। মনোনয়ন কমিটি দীর্ঘ যাচাই বাছাই শেষে পাঁচটি আলাদা ক্যাটাগরিতে ৪৫ জন প্রবাসীকে অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করেন। মাসিক বেতনের ভিত্তিতে দুইভাগে সাধারণ কর্মী ক্যাটাগরিতে ২০ জন, ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে পুরুষ ১০ জন, ১০ জন নারী ও পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যাংকার, কনসালটেন্ট, সাংবাদিক ও ব্যবস্থাপক পর্যায় থেকে ১০ জন মনোনীত হয়েছেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় আরও পাঁচজনকে এই সম্মাননার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া একই দিন ২০১৯ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (সিআইপি) সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। সংবর্ধিত হবেন ৩৯ জন সিআইপি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রথম সচিব (শ্রম) ফকির মনোয়ার হোসেন ও দূতালয় প্রধান মো. মোজাফফর হোসেন।