মোঃ রাসেল ইসলাম, যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোলে একটি চায়ের দোকানে দেড় বছরের শিশু আলিফ হাসানকে (১৬ মাস) ফেলে রেখে চলে যায় তার মা মুন্নি বেগম। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান শিশুকে চায়ের দোকান থেকে নিজেদের হেফাজতে রাখে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটির ছবি দিয়ে প্রচার করা হলে শিশুর পিতা কালু মিয়া বেনাপোল থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করেন।
পরে শনিবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে দেড় বছরের শিশুকে তার বাবা কালু কাছে হস্তান্তর করা হয়। নড়াইল জেলার কালিয়া থানাধীন খড়লিয়া গ্রামের মো. কালু মিয়ার ছেলে আলিফ হাসান।
বেনাপোল থানা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের নিচে তোফাজ্জেল হোসেনের চায়ের দোকানে শিশুকে রেখে পালিয়ে যায় তার মা মুন্নি বেগম। পরে শিশুটি কান্না কাটি করলে দোকানদার তার মাকে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন হদিস না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে শিশুকে তাদের হেফাজতে নিয়ে রাখে।
শিশুটির বাবা কালু মিয়া জানান, তার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। সে আমার সংসার করবে না বলে পূর্বে কয়েকবার জানিয়েছে। বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে বলে আমি প্রতিত্তর করিনি, বরং তাকে বুঝিয়েছি। গতকাল আমার অজান্তে আমার ৮ বছরের মেয়েকে বাড়িতে রেখে, দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে সে আমাকে ফোনে জানায় আমার বাচ্চাকে সে বেনাপোল বাজারে এক চায়ের দোকানে রেখে চলে গেছে। একথা শুনে আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমার ছেলে কোন খবর নিয়ে পাইনি। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। শনিবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানায় গেলে শিশু সন্তানকে আমার কোলে তুলে দেয় পুলিশ।
এদিকে বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মামুন খান জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় মুন্নি বেগম নামে এক নারী তার দেড় বছরের শিশু সন্তানকে বেনাপোল বাজারস্থ একটি চায়ের দোকানে ফেলে চলে যায়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শিশুটির মা ফিরে না আসায় দোকানদার ও স্থানীয়দের মাধ্যমে থানায় খবর দেয়। দোকান থেকে শিশুকে থানায় এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি দিয়ে প্রচার করা হয়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকের উপস্থিতিতে দেড় বছরের শিশু আলিফ হাসানকে তার বাবা কালু মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।