বিশ্বের সব মুসলিমকে নিজ নিজ দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোতে বাড়তে থাকা ইসলামোফোবিয়া (ইসলামবিদ্বেষ) এবং জেনোফোবিয়া (অচেনার প্রতি ভয়) মোকাবিলায় সম্মিলিত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত চিকিৎসকদের সমিতির ৪৬তম বার্ষিক সম্মেলনে শনিবার পাঠানো এক ভিডিওতে বার্তায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সুইডেনে ঈদুল আজহার সময় আমাদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের ওপর জঘন্য হামলা ইসলামোফোবিয়ার ভয়ংকর মাত্রাকে প্রকাশ করে।’ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিশ্বের সব মুসলিমকে নিজ নিজ দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার, সব মুসলমানদের মহান দায়িত্ব আছে। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে সবার। তুরস্ক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আমরা যদি এক হয়ে কাজ করি তবে বিশ্বের কেউ আমাদের আক্রমণ করার সাহস পাবে না।’ এ সময় দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে তুর্কি ও পাকিস্তানের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধনের বিষয়টিও তুলে ধরেন এরদোগান।
ইরাকি খ্রিষ্টান অভিবাসী হিসেবে সুইডিশ মিডিয়ায় চিহ্নিত এক ব্যক্তি ঈদুল আজহায় স্টকহোমের একটি মসজিদের বাইরে একটি কোরআন পুড়িয়ে দিলে মুসলিম দেশগুলোতে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। পাকিস্তান ও ইরাকে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। সুইডেনে তার দূতকে প্রত্যাহার করেছে মরক্কো। দেশটিতে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগে বিলম্ব করেছে ইরান। অন্যান্য দেশ স্টকহোমের আইনের নিন্দা করেছে। সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড