সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার নিবন্ধনের মাধ্যমে করোনায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে আসার সুযোগ দিলেও বিভিন্ন ভুলের কারণে দেশটির ইমিগ্রেশন শেষ মুহূর্তে অনেকের যাত্রা বাতিল করছে। ফলে অনুমোদন পেলেও বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসতে হচ্ছে তাদের। এতে বিদেশগামীরা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছেন, তেমনি ফ্লাইট পরিচালনা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ বিমানের জন্য।
মার্চ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। আরব আমিরাতে কর্মরত বাংলাদেশি যারা ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন চলতি মাসেই তাদের প্রবেশের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেশটি। পুনঃপ্রবেশের জন্য তাদের নাগরিকত্ব ও পরিচয়পত্র প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত লিংকে অনলাইনে আবেদনের পর যারা অনুমোদন পাচ্ছেন শুধু তারাই যেতে পারবেন। অথচ অনুমোদনের পর অনেক কষ্টে টিকিট যোগাড় করলেও যাত্রার আগে দেশটির অভিবাসন বিভাগ অনেকের বোর্ডিং অনুমোদন করছে না। ফলে প্রতিটি ফ্লাইটে ২৫ থেকে ৩০ জনের যাত্রা বাতিল হচ্ছে।
করোনার কারণে কম যাত্রী নেয়ার বাধ্যবাধকতার সঙ্গে কোভিড পজিটিভ হলেও অনেকের যাত্রা বাতিল হচ্ছে। সেই সঙ্গে ইউএই ইমিগ্রেশন অনেক যাত্রীর বোডিং ওকে না করায় ফ্লাইট পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান বিমানের এমডি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এমডি মোকাব্বির বলেন, বোর্ডিংয়ের সময়ে অনলাইনে অ্যাপ্রুভাল আসে, সেটা না আসলে বোর্ডিং পাস দেয়া যায় না। এ কারণে অনেকেই যেতে পারেন না। যাত্রীদের অজ্ঞতার কারণে অনেকের যাত্রা বাতিল হচ্ছে জানিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের।
শাহজালাল বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান বলেন, ফেরত যেতে হলে ইউই সরকার থেকে নিবন্ধন করতে হয়। মেয়াদ থাকে ২১ দিন পর্যন্ত। অনেকেই অজ্ঞতাবশত এ ২১ দিন পার করে ফেলেছে।
গত জানুয়ারি থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আকাশপথে ফেরেন প্রায় ৭ লাখ যাত্রী। এর মধ্যে ইউরোপ আমেরিকা প্রবাসীরা ফেরার সুযোগ পেলেও বাংলাদেশি যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় বিপদে পড়েছেন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীরা।
উৎসঃ সময় টিভি