সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের একটি সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে ইতালিকে বিমান ও কর্মী প্রত্যাহার করতে বলেছে। সোমবার ইতালীর সরকারী একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে। এটি রোম থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয়ার প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রটি জানিয়েছে যে, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করার জন্য আলোচনা চলছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। বহুজাতিক অভিযানের অংশ হিসাবে ইতালি ও ন্যাটো সদস্যরা আমিরাতের আল মিনহাদ বিমানবন্দর ব্যবহার করে আসছে। সেখান থেকে ইরাক, আফগানিস্তান, হর্ন অব আফ্রিকা ও ভারত মহাসাগরে বিভিন্ন ফ্লাইট পরিচালিত হয়।
জানুয়ারিতে ইয়েমেনে শান্তি পুনরুদ্ধার এবং মানবাধিকার রক্ষায় রোম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির বিষয়টি স্থগিত করে দেয়ার জানায়। ২০১৬ সালে ইতালির সাথে মাত্তেও রেনজির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয়-বাম সরকারের অধীনে ৪০ কোটি ইউরো (৪৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার) মূল্যের ২০ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে সউদী ও আমিরাতের চুক্তি হয়েছিলো।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইতালির সংসদ সদস্য এবং সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের সদস্য মাত্তে পেরেগো ডি ক্রিমনাগো জানিয়েছেন, অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধের এই স্থগিতাদেশ জরুরি ছিল। চলতি মাসের শুরুর ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আফগানিস্তান সফর করেন। সে সময় ৪০ জন সাংবাদিককে নিয়ে ইতালির একটি সামরিক বিমান আফগানিস্তান যাওয়ার পথে নিজেদের আকাশ সীমায় তাদেরকে প্রবেশে বাধা দেয় আমিরাত। বার্তা সংস্থা এএনএসএ বলেছে যে, এ ঘটনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিলো ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত রিয়াদের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোটের অংশ, যারা মার্চ ২০১৫ সাল থেকে ইরান-নেতৃত্বাধীন হুথিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেন লড়াই করে আসছে। এই লড়াইয়ে কয়েক হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে এবং দেশকে দুর্ভিক্ষের কবলে নিয়ে গেছে। আবু ধাবি ২০১৯ সালে ইয়েমেনে সামরিক উপস্থিতি শেষ করে কিন্তু তারা এখনও হাজার হাজার ইয়েমেনি সেনাকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সূত্র: মিডলইস্ট মনিটর।