সঠিক তথ্য না পেয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সৌদি আরবগামী প্রবাসী কর্মীরা। সৌদি আরব দেশটিতে ফেরা যাত্রীদের হোটেলে কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করাসহ নতুন শর্ত আরোপ করেছে। সৌদির নতুন শর্তের কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সৌদি আরবগামী সকল ফ্লাইট ২০ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে হোটলে বুক করার, ফ্লাইট শিডিউল পাওয়াসহ সামগ্রিক বিষয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন সৌদি থেকে ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসীরা। যাত্রীদের প্রশ্ন থাকলে তাদের তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখা গেছে এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে ১০ মে সৌদি আরবের জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে নতুন শর্ত পালনের কথা জানায়। যারা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে ৭ দিন হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়। একই সাথে সৌদিগামী সকলের মেডিকেল ইন্সুরেন্স থাকতে হবে। যাতে করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসা ব্যয় ইন্সুরেন্সের আওতায় বহন করা যায়। যাত্রীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিং এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে করার নির্দেশনাও দিয়েছে জেনারেল অথরিটি অব সিভিল এভিয়েশন। এ নিয়ম ২০ মে থেকে কার্যকর হয়।
নতুন এ নির্দেশনায় যাত্রীরা পড়েন বিভ্রান্তিতে। যাত্রীদের অভিযোগ- নির্দেশনাগুলো তাদেরকে যথাযথভাবে জানানো হয়নি। কিভাবে হোটেল বুক করতে হবে, কত টাকা খরচ হবে-তা নিয়ে এয়ারলাইন্সগুলোর কাছ থেকে তথ্য না পেয়ে ট্রাভেল এজেন্সির কাছে যান অনেকেই। আবার অনেক সৌদিতে থাকা স্বজনদের মাধ্যমে হোটেল বুক করে নেন। কিন্তু এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে বুক না করায় এসব যাত্রীদের ফ্লাইটে নেওয়া হয়নি।