প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চাকরি হারিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ হাজার ৭০০ জন অভিবাসী কর্মী দেশে ফিরেছে। প্রত্যাগত এসব অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যাগত কর্মীরা বিদেশে পাওনা গড়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিদেশে তাদের বকেয়া পাওনা উদ্ধারের কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার প্রত্যাগত কর্মীদের পুর্নবাসনে ৭শ’ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে রামরুর উদ্যোগে ‘বিশ্বায়নের অন্যরুপ’বাধ্য হয়ে ফিরে আসা বাংলাদেশি শ্রমিক ও তাদের বকেয়া শীর্ষক জুমিনারে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এতে গত তিন মাসে ফিরে আসা ৫০ জন অসহায় অভিবাসীর উপর রামরু একটি গবেষণার প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
এতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রামরুর নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।
নীতিনির্ধারকের মধ্যে জুমিনারে উপস্থিত ছিলেন শিরিন আকতার এম পি, আরোমা দত্ত এমপি, প্রবাসী সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি মো. নজরুল ইসলাম, বায়রার মহাসচিব শামীম আহমদ চৌধুরী নোমান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম ও মাইগ্রেশন ফোরাম ইন এশিয়ার সমন্বয়কারী উইলিয়াম গয়েজ।
বায়রায় মহাসচিব জনাব শামীম আহমেদ নোমান বলেন যে, অভিবাসীদের সুরক্ষায় ওয়েজ আর্নার্স ফান্ড থেকে বরাদ্দের বাইরে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন।