বিদেশে বসে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কিছু লোক বিদেশে অবস্থান করে দেশের সমালোচনা করে এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করে। আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে উন্নীত করেছি, এখন তাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
নিউইয়র্কে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক আওয়ামী লীগ সরকারকে অবৈধ বলে অভিহিত করছে। আমার প্রশ্ন হলো—কীভাবে তারা এ শব্দগুলো (সরকারের সমালোচনা) উচ্চারণ করার সুযোগ পায়? আমরা বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলেছি বলেই তারা এটা বলার সুযোগ পেয়েছে।
বিএনপি ও জামায়াতের কাছ থেকে সরকারের সমালোচনাকারীরা অর্থগ্রহণ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি তারা নীতিবান হয় এবং তাদের কোনো আদর্শ থাকে, তাহলে তারা আমাদের তৈরি করা ডিজিটাল সিস্টেমগুলো কেন ব্যবহার করে?’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘হাইকোর্ট জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ সরকারকে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করেছে, কারণ তারা সামরিক আইন জারি করে তাদের সরকার গঠন করেছে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্ত্রী এতিমদের অর্থ আত্মসাতের জন্য সাজাপ্রাপ্ত এবং তাঁর ছেলে (তারেক রহমান) ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এমনকি তাদের দুর্নীতির তথ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (এফবিআই) প্রকাশ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দেশের মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে এত বেশি অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে যে, তারা একজন এফবিআই’র লোককে নিয়োগ করেছিল, যা পরে এফবিআই প্রকাশ করে।’
জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে জয়ের শক্তি এবং সাহস থাকলে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।’
বিএনপির শাসনামলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল, কিন্তু সব রাজনৈতিক দল সে নির্বাচন বর্জন করে এবং জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। যেহেতু জনগণ তাদের ভোট দেয়নি, তাই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।’