ভোর থেকে আবারও ২ দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি-জামায়াতে ইসলাম। সরকার পতন ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচি বলছে দলগুলো।
আজ রোববার ভোরে থেকেই রাজধানীর সড়কে যানচলাচল কিছুটা কম রয়েছে। তবে প্রথম দফার চেয়ে এবারের অবরোধের যানবাহনের চলাচল বেড়েছে।
বনানী, মহাখালী, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, মিরপুর, আগারগাঁওসহ নানা সড়কে গণপরিবহন সংখ্যা কম। তবে কর্মজীবী মানুষের চলাচল রয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা-রিকশায়ও চলাচল করছেন অনেকে। সড়কে রয়েছে বিআরটিসির দ্বিতল বাস।
এদিকে রাজধানীতে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল। মোতায়েন করা হয়েছে আনসার সদস্যদের।
অবরোধের শুরুতেই শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাজধানীতে ৪টি সহ সারা দেশে মোট ৬টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোডে দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে সায়েদাবাদ এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচে বাসে আগুন দেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে রাজধানীর গুলিস্তানে আরও একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গত সপ্তাহে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৩ দিনের অবরোধে রাজধানীতে ১২টি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা ও সরকারে পদত্যাগের একদফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতা–কর্মীরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালেও।
বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন প্রায় অর্ধশত। এ সময় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর ওপরও হামলা করা হয়। ভাংচুর করা হয় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল।
ওই দিন সন্ধ্যায় রোববার সারা দেশে সকাল–সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। হরতালের মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। তাদের কর্মসূচির সাথে মিল রেখে জামায়াতে ইসলামীও তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তাদের এ অবরোধ শেষদিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন করে রোববার ও সোমবার অবরোধের কর্মসূচী ঘোষণা করে দলটি। প্রতিবারের মতো এবারও এই অবরোধে নিজেদের সমর্থন জানিয়ে একই কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেয় জামায়াতে ইসলামী।