পাওনা টাকা তুলে দেওয়ার নামে বাড়িতে ডেকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শেরপুরের খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল ওহাবের বিরুদ্ধে। ওই গৃহবধূ শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে শেরপুর থানায় চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা করেছেন।
শেরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মামলার এজাহার সূত্রে ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ওই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। চেয়ারম্যানের আত্মীয় শহিদুল ইসলাম কিছু দিন আগে পার্শ্ববর্তী গাড়িদহ ইউনিয়নের গাড়িদহ গ্রামের ঢাকায় কর্মরত এক গার্মেন্টকর্মীর স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। দীর্ঘদিন টাকা ফেরত না দেওয়ায় ওই গৃহবধূ চেয়ারম্যান ওহাবের শরণাপন্ন হন। চেয়ারম্যান টাকা আদায় করে দেওয়ার নামে তাকে শুক্রবার সকালে তার রামচন্দ্রপুর এলাকার ভাড়া বাড়িতে যেতে বলেন।
ওই গৃহবধূ চেয়ারম্যানের বাড়িতে গেলে সেখানে কেউ না থাকায় চেয়ারম্যান তাকে ধর্ষণ করেন। ওই দিন রাতেই গৃহবধূ শেরপুর থানায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল ওহাবের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূ ধর্ষণ মামলা করেছেন। শনিবার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তবে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব। তিনি দাবি করেন, তার জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই প্রতিপক্ষরা ওই নারীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন।