কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ বাহে থাকার জাগা নাই,কাঁইয়ো খোঁজ খবর নেয় না,কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে বানভাসী মানুষ। পানিবন্দী পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত বসবাস করছেন। আর অপেক্ষা করছেন কখন মানুষ এসে সহযোগিতার হাত বাড়াবে। কিন্তু দীর্ঘ ২৫/২৬ দিন ব্যাপী টানা বন্যায় দেখা মেলেনি কারো। ফলে মানবেতরভাবে দিন কাটছে তাদের। এদিকে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত ত্রানের কথা বলা হলেও ভিতরের চিত্র ভিন্ন। জেলা প্রশাসন এবং ত্রান ও পূণর্বাসন কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে চলতি বন্যায় ২ লাখ ৫০ হাজার ৫২০জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এজন্য শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ হাজার প্যাকেট। এতে যদি ৪০ হাজার লোকও পেয়ে থাকে তাহলে এখনো ২ লাখ ১০ হাজার মানুষের হাতে পৌঁছেনি শুকনো খাবার।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের রহিমা বেগম বলেন, ‘বাহে অনেক কষ্ট করি পানি আনা নাগে। থাকার জাগা নাই। খুব কষ্ট করি আছি। কাঁইয়ো খোঁজ খবর নেয় না।’ দীর্ঘস্থায়ী এ বন্যায় মানুষ চরম দুর্ভোগ-দুর্দশা আর কষ্টের মধ্যদিয়ে মানবেতরভাবে দিন যাপন করছে বানভাসীরা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, আমরা এখন পর্যন্ত ৪শ’ মেট্রিন চন জিআর চাল ছাড়াও ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। যেখান থেকে ৪ লাখ টাকার গো-খাদ্য ও ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্যসহ ১৩ লাখ টাকার খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করেছি। এছাড়াও ৮ হাজার শুকনো খাবার বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৩ লক্ষ টাকা চেয়েছি আমরা। আমরা খবর পেলেই বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছি।