শাহ সুমন,বানিয়াচং(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে ৩মাসেই ফাটল দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সুবিধাভোগীরা। মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেওয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের বেশ কিছু ঘরে নির্মাণের পর বসবাসের ৩মাসের দিকের মধ্যেই ফাটল দেখা দেয়। এতে এসব ঘরে থাকা সুবিধাভোগী নিম্নবিত্ত মানুষগুলো আছেন আতঙ্কে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মাণ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
(২৩ আগস্ট)রোজ সোমবার সকাল ১১ ঘটিকায় সরেজমিনে বানিয়াচং উপজেলার অন্তর্ভুক্ত ১নং উত্তর -পূর্ব ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে এই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। স্থানীয় অধিবাসীরা জানান মাত্র ৩ থেকে ৪মাস আগে সরকারের আশ্রয় প্রকল্পের ঘর বুঝে পান এই ভূমিহীনরা। পাকা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হলেও বসবাসের কিছুদিন পরই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেশ কয়েকটি ঘরের দেয়াল ও মেঝে ফেটে যায়। ফলে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলো এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেকটাই তড়িঘড়ি করে ঘরগুলো নির্মাণ ও মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার না করার কারণেই সামান্য দুর্যোগে ঘরের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর এসব ফাটল ধরা ঘর বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস শুরু করেছেন অনেকে। অন্যদিকে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আশেপাশে গভীর নলকূপ না থাকাতে নিরাপদ পানি পান করতে পারছেন না ভূমিহীন হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। সরকারের নিকট তারা সেখানে একটি গভীর নলকূপ স্হাপন করার জন্য দাবি করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া মনু রবি দাস, সুনিল রবি দাস অনেকে দুঃখের সহিত জানান, মানসম্মত উপকরন এবং ঘরগুলো নির্মাণে তারাহুরোর জন্যই ঘরে ফাটল ধরেছে, তার কারণ ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এখন ছেলে-মেয়ে নিয়ে এসব ফাটল ধরা ঘরে থাকতে ভয় লাগছে। অনেকে ঘর ছেড়ে বাইরে থাকছে। আমরা ভূমিহীন গরিব মানুষ বলেই ঘর পেয়েছিলাম। কিন্তু, এমন ঘর পেলাম যে ঘরে থাকা এখন ঝুঁকির ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে আমাদেরকে ভাল মানের ঘর তৈরি করে দেওয়া হোক। আর যারা ঘর নির্মাণে অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, ঘরে ফাটল ধরেছে এই বিষয়ে আমরা অবগত নই। আমরা এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি । তবে অভিযোগ পেলে তিনি দ্রুত ফাটল ধরা ঘরগুলো মেরামত করে বসবাসের উপযোগী করে তোলা হবে বলে জানান।