বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ কুরবানির পশুর হাট,ক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এবছর পশুর দাম একটু বেশি আর অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন এবছর বিক্রয় খুব কম যদি আশানুরূপ দাম না পাই তাহলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে ।
সোমবার সকাল থেকে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা পশুরহাটে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে মিনিট্রাক, নসিমন, করিমন ও ভটভটিবোঝাই গরু নিয়ে আসছেন মালিক, খামারি ও ব্যাপারীরা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার একটুও দাম কমাচ্ছেন না, তবে বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে গো খাদ্যের দাম বেশি। ফলে বছরজুড়ে গরু লালন-পালন করতে খরচ প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তাই কোরবানির পশুর দামও বেড়েছে। এখানে তাদের করার কিছু নেই। এজন্য ঊর্ধ্বমুখী বাজার ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা
বেতাগা পশুরহাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনন্দ দাশ বলেন, বেতাগা পশুরহাটে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি এখানে ভলান্টিয়ার টিম রয়েছে। হাটে গরুর আমদানি খুব ভালো। জাল টাকা পরীক্ষা করার জন্য এখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটে গবাদিপশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, অত্র উপজেলায় এবার কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার পশু। প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। উপজেলায় খামারি রয়েছে ১ হাজার। উপজেলার স্থায়ী বেতাগা পশুরহাটে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে গবাদিপশু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।
হাটে একদিকে যেমন দর-দাম চলছে অন্যদিকে তেমন পশু কেনাবেচাও চলছে। আর দাম বেশি হওয়ায় কম বাজেটে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে খালি হাতেই ফিরছেন বাড়ি।
সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে ক্রেতারা তাদের পছন্দের পশুটিকে ক্রয় করে কোরবানি করুক ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হোক সকলের জীবন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।