
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বুধবার সকাল থেকে উভয়পাড়ে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে ফেরি, লঞ্চসহ নৌযানগুলো। ফলে বাংলাবাজার-শিমুলিয়ার দুই পাশই এখন জনমানুষ শূন্য।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন ঘোষণার পর মঙ্গলবার ঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। তবে আজ লকডাউনের প্রথম দিনে ফেরি, লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উভয়পাড়ের ঘাট এলাকায় জনমানুষ শূন্য। মানুষের কোনো ছায়া নেই ঘাট এলাকায়। বাংলাবাজার লঞ্চঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে নৌযানগুলো।
উল্লেখ্য, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ১৮ ফেরি, ৮৭ লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট নিয়মিত চলাচল করে।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী বজলুর রহমান যুগান্তরকে জানান, ঢাকায় আমার বড় ভাই গুরুতর অসুস্থ। খবর পেয়ে সকালে ঘাটে এসেছি। বরিশাল থেকে অনেক কষ্ট করে এসেছি। এখন দেখি ঘাটে নৌ চলাচল বন্ধ। মনে হয় আর ঢাকা যাওয়া হবে না।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বিএম আতাউর রহমান যুগান্তরকে জানান, লকডাউন ঘোষণার শুরু থেকে আমরা এ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছি। আজ থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে ৮৭টি লঞ্চই সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া স্পিডবোটগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ। কোনো মানুষই এখন ঘাট দিয়ে পারাপার হতে পারছেন না। বাংলাবাজার ঘাট এখন জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার সালাউদ্দিন মিয়া যুগান্তরকে জানান, বুধবার থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিবহন পারাপারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উৎসঃ যুগান্তর