বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্ত দিয়ে তৈরি। এর মধ্যে মিশে আছে মুক্তি এবং মিত্রবাহিনীর লাখো শহীদের আত্মদান। এ বিস্ময়কর বন্ধুত্ব দিনে দিনে আরও এগিয়ে নেবে দু’দেশের জনগণ।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি দেওয়ার দিনটিকে স্মরণ করে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও এদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
গত ৬ ডিসেম্বর ভারতের স্বীকৃতি প্রদানের দিনটি স্মরণে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে সম্প্রীতির বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন।
একাত্তরের আগুনঝরা দিনে নয় মাসের যুদ্ধে ডিসেম্বরে বিজয়ের মোহনায় এসে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ডিসেম্বর ৬ তারিখ প্রথম দেশ হিসবে ভুটান ও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে। সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে মৈত্রীর বন্ধনে সুবর্ণ সম্প্রীতির আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সাহায্য-সহযোগিতার স্মরণীয় দিকগুলো তুলে ধরে দুই দেশের এ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও সমৃদ্ধ করার আশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ভারত। মুক্তিযুদ্ধে যেমন সহায়তা করেছে এখনো বাংলাদেশকে ভারত সেভাবে সাহায্য করছে বলে মন্তব্য করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব এক বিস্ময়কর বন্ধুত্ব। আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব আরও সমৃদ্ধশালী হবে। বাংলাদেশ সেই দেশ যেমনটা বঙ্গবন্ধু বলছিলেন ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার।
মৈত্রীর বন্ধনে সুবর্ণ সম্প্রীতিতে অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের রক্তের সম্পর্ক। বাংলাদেশ অর্জনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন রক্ত মিশে আছে তেমনি ভারতের সশস্ত্র বাহিনী রক্ত মিশে আছে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর সম্পর্কের একটি নতুন মাইলফলক।