বাংলাদেশ থেকে হঠাৎ করেই কনস্যুলার অফিস গুটিয়ে নিয়েছে ইউরোপের দেশ রোমানিয়া। বিষয়টিকে দুঃখজনক উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কাজের শর্তে গিয়ে দেশটিতে থাকছেন না ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি। এ নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোমানিয়া থেকে ইউরোপের অন্য দেশে চলে যাওয়া বাংলাদেশিরা বলছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভালো উপার্জনের আশায় সেন্ট্রাল ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমিয়েছেন তারা। দাবি, রোমানিয়ায় কম বেতন এবং টিআরসি কার্ড করতে জটিলতার কারণেও দেশটি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ভাগ্য বদলের আশায় ইউরোপের এই দেশটিতে যেতে চান অনেকেই। ২ কোটিরও কম জনসংখ্যার দেশটিতে কাজের জন্য জনশক্তিও দরকার।বাংলাদেশিদের অনেকেই আগ্রহী সেখানে যেতে। ঢাকা থেকে ভিসা যেনো সহজেই মেলে, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ঢাকায় অস্থায়ী কনস্যুলার অফিস চালু করে রোমানিয়া। ফলাফল, মাস খানেকের মধ্যেই ইস্যু হয় পনের হাজারের মতো ভিসা। তারপর হঠাৎই লাপাত্তা ঢাকার কনস্যুলার অফিস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যারা গিয়েছে তাদের ১০ শতাংশ লোকও রোমানিয়ায় থাকে নাই। তারা বলছে, বাংলাদেশিরা যদি নাই থাকে তাহলে আমরা কেন তাদের এলাও করবো। তারা এখানে এসে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। এই জন্য তারা একটু অসন্তুষ্ট।
প্রশ্ন হলো, কেন রোমানিয়ায় থাকা ও কাজের সুযোগ থাকার পরও দেশটি ছাড়ছেন বাংলাদেশিরা? ভাগ্য বদলের আশায় দেশটিতে যাওয়া কয়েকজন বলছেন, কাজের মজুরি, আবাসন কোনোকিছুই অঙ্গীকার মতো পাননি তারা। সবচে বড় জটিলতা হলো, আবাসনের কাগজপত্র পাওয়া ও পরিবার নিয়ে আসা কঠিন রোমানিয়ায়। তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও সেন্ট্রাল ইউরোপের দেশগুলোতে চলে যাচ্ছেন তারা।
এদিকে, দ্রুততম সময়ে কীভাবে রোমানিয়ার কনস্যুলার সেবা আবারও ঢাকা থেকে দেয়া যায়, তা নিয়ে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে যাওয়ার আগেই একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কেউ রোমানিয়া ছাড়তে পারবে না- এমন মুচলেকা রাখা যায় কিনা, সেই চিন্তাও আছে নীতিনির্ধারকদের।