বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বৈঠক শেষে এসব সমঝোতা স্বারক সই হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হলো:
১. কুশিয়ার নদী থেকে বাংলাদেশের ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের সমঝোতা স্মারক।
২. বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সিএসআইআর) সঙ্গে বাংলাদেশের সিএসআইআরের সমঝোতা স্মারক সই হয়।
৩. বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ও ভারতের ভুপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল অ্যাকাডেমির মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৪. ভারতের রেলওয়ের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক সই হয়।
৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয় আরেকটি সমঝোতা স্মারক সই করে।
৬. ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ‘প্রসার ভারতী’র সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সমঝোতা স্মারক।
৭. বাংলাদেশের বিটিসিএল ও ভারতের এনএসআইএলের মধ্যে মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক।
সমঝোতা স্মারকের সইয়ের পর দুই দেশের প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা বলেন। এরপর শেখ হাসিনা কথা বলেন।
এ সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। নিজেদের মাঝে অবিশ্বাসের তৈরি করে এমন শক্তির বিরুদ্ধে ৭১ এর চেতনায় কাজ করবে ভারত ও বাংলাদেশ।
আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘প্রতিবেশী কূটনীতির’ রোল মডেল। যেকোনো সমস্যায় ভারতকে পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় থাকাকালীনই কুশিয়ারার মতো সকল অভিন্ন নদীর সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।