বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান সব সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি বলেছেন, ‘তাঁর সরকারের আমলে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
গতকাল শুক্রবার তেহরান সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সাক্ষাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের সুপ্রাচীন সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন প্রেসিডেন্ট রায়িসি। তিনি বলেন, ‘সেই সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় সব ক্ষেত্রে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে তেহরানের সহযোগিতা শক্তিশালী করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বিদ্যমান সুযোগ ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সম্পর্কের বিস্তার ঘটানো সম্ভব হলে তাতে দুই দেশের জনগণই লাভবান হবে।’
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ভিত্তিতে উভয় দেশে যৌথ পুঁজি বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেন সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নির্যাতিত মুসলিম এই জনগোষ্ঠীকে তাদের চলমান দুর্দশা থেকে মুক্তি দেয়ার স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ কাজে ইরান সাধ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
সাক্ষাতে আগামী চার বছর প্রেসিডেন্ট রায়িসির দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা চলছে তাতে তেহরানের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে ঢাকা।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তেহরান সফরে রয়েছেন বাংলাদেশের মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার ইরানের সংসদে ওই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।