প্রতিপক্ষ যখন বলিভিয়া, তখন উচ্চতা নিয়েই বেশি মাথা ঘামাতে হয় আর্জেন্টিনাকে। যার বড় কারণ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এত উচ্চতায় অক্সিজেন স্বল্পতা। যে কারণে ২০০৫ সালের পর লা পাজে জয়ের দেখাই পায়নি আলবিসেলেস্তরা। সেই উচ্চতার পরীক্ষা এবার উতরে গেলো মেসির দল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লা পাজের এস্তাদিও এর্নান্দো সাইলেসে পিছিয়ে পড়েও বলিভিয়াকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে।
মেসিদের জন্য এই জয় অবশ্যই বিশেষ কিছু। কারণ ৩ হাজার ৬৫০ মিটার উচ্চতার লা পাজে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ জয়টা ১৫ বছর আগের। অবশ্য এই ম্যাচেও যে উচ্চতা মেসিদের ভোগায়নি এমন নয়। দ্বিতীয়ার্ধে অনেককেই অক্সিজেন নিতে দেখা গেছে।
ম্যাচের শুরুতেও মনে হচ্ছিল বরাবরের মতো ভুগতে হবে এই ম্যাচেও। বলিভিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলছিল শুরুর দিকে। ২৪ মিনিটে বলিভিয়াকে এগিয়ে নেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার মার্তিন্স। সতীর্থের বাড়ানো পাস থেকে দারুণ এক হেডে জাল বল পাঠান তিনি।
তবে ভাগ্যদেবী সহায় ছিল বলে প্রথমার্ধের শেষ দিকেই সমতা ফেরোনোর সুযোগ পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বাম প্রান্ত থেকে এগিয়ে আসা লাউতারো মার্তিনেজের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়েছিলেন বলিভিয়ার ডিফেন্ডার কারাসকো। কিন্তু মার্তিনেজ এগিয়ে এলে তার পায়ে লেগেই বল জড়িয়েছে জালে।
মার্তিনেজ হ্যাটট্রিকের দেখাও পেতে পারতেন। কিন্তু তার নেওয়া একটি শট চলে গেছে বারের ওপর দিয়ে, আরেকটি রুখে দিয়েছেন বলিভিয়া গোলকিপার।
আর্জেন্টিনার আধিপত্য বিস্তার করেছে দ্বিতীয়ার্ধে। শুরুর দিকের ধার আর ধরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। বরং ৭৯ মিনিটে জয় সূচক গোলটি খুঁজে নেয় স্ক্যালোনির দল। কোরেয়ার বাম পায়ের শট খুঁজে নেয় ঠিকানা। প্রাণভোমরা মেসি পুরো ম্যাচে আলো ছড়ালেও স্কোর করার তুলনায় সুযোগ বানিয়ে দেওয়ার দিকেই বেশি মনোযোগী ছিলেন।
বাছাইয়ে এর ফলে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ন থাকলো আর্জেন্টিনার। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তাদের অবস্থান ব্রাজিলের পরেই।