বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের স্বীকৃতি পেয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ, দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট বিষয়ক ট্র্যাকিং সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্ট সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
নোমাড বিশ্বের ১৯৯টি দেশের মধ্যে শীর্ষ ১০টি দেশের পাসপোর্টের তালিকা দিয়েছে। দেশগুলো হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, জার্মানি, চেক রিপাবলিক, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। নোমাড ক্যাপিটালিস্টের সূচকে ৪৩তম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট। যুক্তরাজ্য ৩০তম এবং অস্ট্রেলিয়া ৩৯তম স্থানে রয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই অথবা ইলেক্ট্রনিক ট্রাভেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ১৮১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারে। এছাড়া দেশটিতে ট্যাক্টেশনের স্কোর ৫০ যার অর্থ দাঁড়ায় জিরো ট্যাক্স। প্রতিটি দেশের নাগরিকদের কিভাবে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে বা স্বীকৃত হয় তা নির্ধারণ করতে সংস্থাটি বিশ্বের সুখী দেশগুলোর প্রতিবেদন, মানব উন্নয়ন সূচক এবং বিষয়গত কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।
গত বছর আমিরাতের পাসপোর্ট এই তালিকায় ৩৫তম অবস্থানে ছিল। সেখান থেকে এবার একেবারে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে দেশটির পাসপোর্ট। ফার্ম নোম্যাড ক্যাপিটালিস্টের সূচক অনুযায়ী, ভ্রমণ স্বাধীনতার পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ এবং ঈর্ষণীয় ট্যাক্স সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে এই তালিকা তৈরি করা হয়। মূলত পাঁচটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে পাসপোর্টের এই তালিকা তৈরি করা হয়। এগুলো হলো-ভিসা ফ্রি ভ্রমণ, স্থানীয় কর সুবিধা, পর্যটকদের চোখে উক্ত দেশের মানুষ কতোটা সুখী বা অসুখী, দ্বৈত নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্কোর হচ্ছে যথাক্রমে ৪৯, ৩০, ৩০, ৩০ এবং ১০। সর্বমোট ৩৭ দশমিক ৫০ স্কোর নিয়ে ১৮২তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ৪৯টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।
ভারত রয়েছে তালিকার ১৫৯ নম্বরে। ৭১টি দেশে ভ্রমণ করতে পারে ভারতীয় ভিসামুক্ত পাসপোর্টধারীরা। এছাড়া এশিয়ার পর্যটনকেন্দ্রিক দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান রয়েছে ১৯৫ নম্বরে, শ্রীলঙ্কা রয়েছে ১৭০ নম্বরে এবং নেপাল রয়েছে ১৭৯ নম্বরে।
সূত্র : নোমাড ক্যাপিটালিস্ট