তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে বন্যার পানিতে ভাসছে মৃত গবাদি পশু। পানিতে মৃত গবাদিপশু পঁচে গলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে। ফলস্বরূপ পানি ও বাতাস দূষিত হচ্ছে এবং হাওর তীরের বানভাসি মানুষের দুর্দশা আরও বাড়ছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মদনগৌরী এলাকায় এবং এরাঙ্গীরকুল এলাকার ধলিয়া বিলে-হাওরে মরা গবাদি পশু ভাসতে দেখা যায়।
স্থানীয় লোকদের বরাতে জানায়, পানিতে আটকে থেকে গবাদি পশু খাদ্য সংকটের কারণেই মারা যাচ্ছে। একমাত্র কচুরিপানা আর কিছু নেই গো-খাদ্য। কচুরিপানা অধিক খেলে গরুর পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। মারা যাওয়া এসব গবাদি পশু মাটিতে পুঁতে দেওয়ার মতো শুকনো জায়গা না থাকায় মানুষ ভাসিয়ে দিচ্ছে বন্যার পানিতে। এতে পানি ও বাতাস দুটোই দূষিত হয়ে পরিবেশ দূষণ ও নষ্ট করছে। এতে দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত রোগ চর্মরোগ এবং ডায়রিয়া বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ।
এ ব্যাপারে ডাঃ সঞ্জয় গোয়ালা প্রতিবেদক’কে বলেন, যেভাবে পানিবাহিত রোগসহ ডাইরিয়ার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে সেই কথা মাথায় রেখে, বিশুদ্ধ খাবার পানি পান করা, ডুবে থাকা কোপর পানিকে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খাওয়া যেতে পারে। খাবার স্লাইন সাথে রাখতে হবে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় কিছু মেডিসিন সাথে রাখতে হবে যেমন, নাপা, মেট্রিল,পানি বিশুদ্ধকরন বড়ি ইত্যাদি।