এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রামঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর প্রতীক পোস্ট করে উপহাস করার পর ঐ ফেসবুক ইউজারকে নির্বাচনী মাঠের মোবাইল টীমের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তলব করে কারন দর্শানোর পর একই ইউজার পুনরায় তার আইডি থেকে লাইভে এসে নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়েছে।
২১ ডিসেম্বর’২৩ ইং বৃহস্পতিবার সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নের তালগাঁও গ্রামের নছরুল কবীরের ছেলে মাঈনুদ্দিন হাসান (২৪) কে এ অর্থদন্ড দেন চট্টগ্রাম রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশক্রমে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এন এন জামিউল হিকমা।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশঃ সাতকানিয়া উপজেলার চরতী ইউনিয়নের জনৈক মাঈনুদ্দিন হাসান (২৪), পিতা- নছরুল কবির, গ্রাম- তালগাঁও গত ২০ ডিসেম্বর বিকালে তার ফেইসবুক একাউন্টে একটি মৃত ঈগল পাখির ছবি পোস্ট করে “ঈগল পাখিটির জন্য কষ্ট হচ্ছে” ক্যাপশন দিয়ে পোস্ট করলে ঈগল পাখি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার, চট্টগ্রাম এর নজরে আনেন। তদপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং অফিসার, চট্টগ্রাম মহোদয়ের নির্দেশনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার সাতকানিয়া উপজেলা কার্যালয়ে তলব করলে অভিযুক্ত মাঈনুদ্দিন স্বশরীরে হাজির হলে বন্য প্রাণী হত্যা এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক ‘ঈগল’ এর সমর্থকদের প্রতি অবজ্ঞাসূচক ইঙ্গিত করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপরাধে কেন তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
জবাবে মাঈনুদ্দিন লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন এবং কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুক থেকে পোস্টটি ডিলিট করেন। ভবিষ্যতে এহেন হীন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ও নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে চলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এরপর একইদিন রাত আনুমানিক ১২.০০ টার সময় অভিযুক্ত মাঈনুদ্দিন হাসান (২৪) তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক একাউন্ট থেকে পুনরায় লাইভে এসে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের প্রতি উষ্কানিমূলক এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য প্রচার করেন। দ্বিতীয় বারের মত আচরণ বিধি লংঘনের অপরাধে ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত মাঈনুল হাসান(২৪) কে ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস.এন.এন. জামিউল হিকমা।