পুলিশের কাছে বিচার না পেয়ে সদ্য এসএসসি পাস করা এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। বিউটি মণ্ডল (১৭) নামে ওই কিশোরী তালা উপজেলার কলাগাছী গ্রামের নিতাই মণ্ডলের মেয়ে।
বুধবার দুপুরে ঘরের আড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। পরিবারের অভিযোগ, নীলনদী বিউটি নামে একটি আইডি থেকে শিক্ষার্থী বিউটি মণ্ডলের একটি বিবস্ত্র ছবি দিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা লেখা হয়। সাথে বিউটি মণ্ডলের মোবাইল নম্বরও দেয়া হয়।
বিষয়টি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি বিউটির বাবা নিতাই মণ্ডলকে ফোন করে মেয়ের ফেসবুকে এ ধরনের পোস্ট করা ছবির বিষয়ে জানায় এবং ফেসবুকের একটি আপলোড হওয়া আপত্তিকর ছবির একটি লিংকও দিয়ে দেয়।
বিষয়টি জানার পর বিউটি মণ্ডলের বাবা নিতাই মণ্ডল গত ৭ সেপ্টেম্বর তালা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে স্থানীয় কলাগাছী গ্রামের জগদীশ রায়ের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় রায় (২০) এর নাম উল্লেখ করা হয়।
নীলনদী বিউটি আইডিটি মৃত্যুঞ্জয় রায় খুলে এ ধরনের আপত্তিকর ছবি পোস্ট করেছে বলে বিউটির বাবা পুলিশকে জানায়। কিন্তু তালা থানা পুলিশ কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় লোকলজ্জায় ও আত্মসম্মান হানি হওয়ায় বিউটি মণ্ডল আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করছেন বিউটির বাবা কৃষক নিতাই মণ্ডল।
তালা থানা (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। তিনি বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগ পেয়ে সেটি তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (তালা-পাটকেলঘাটা সার্কেল) হুমায়ূন কবির জানান, তালা থানা পুলিশ ৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগ পেয়েও কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের কোন গাফিলতি থাকলে সেটি চিহ্নিত করা হবে। একইসাথে স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার বিষয়ে মামলা নিয়ে আসামি গ্রেফতারের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।