১৫ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে নিজের ফ্ল্যাটে খুন হন তরুণ উদ্যোক্তা ও পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক ফাহিম সালেহ। ম্যানহাটনের সোয়া দুই মিলিয়ন ডলারের নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্টে তিনি একাই থাকতেন। এঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেফতার না করতে পারলেও খুনিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ব্যবসায়িক কোন লেনদেনের জেরে খুন করা হয়েছে ফাহিম সালেহকে। তবে তদন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাবে না নিউইয়র্ক পুলিশ।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সারাদিন ভাইকে একবারও চোখে না দেখায় অ্যাপার্টমেন্টের ৭ম তলায় গিয়ে নৃশংস অবস্থায় ভাইয়ের দেহ দেখতে পায় ফাহিম সালেহর বোন। এরপর পুলিশে ফোন দেন তিনি। পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের ধারণা, খুনি এলিভেটরে করে ফাহিম সালেহকে হত্যার জন্য প্রবেশ করেছে। মাস্ক ও গ্লাভস পরিহিত এক সন্দেহভাজনের ফুটেজ তারা উদ্ধার করেছে।
ফাহিমের জন্ম ১৯৮৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম পড়াশোনা করতেন ফাহিম। নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়ায়ও তার দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানি রয়েছে। সবশেষ তিনি পাঠাও-এ পর্যবেক্ষক উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন। বাংলাদেশে নতুন কোনো উদ্যোগ নিয়ে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির নিউইয়র্কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে জানায় সেখানকার বাসিন্দারা। গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৫৩ জন। ১২ জুলাই পর্যন্ত সেখানে ঘটেছে ৬৬৪টি গুলির ঘটনা।