আজিজুর রহমান দুলালঃ ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলনের পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। এই সংসদীয় আসনের তিনটি উপজেলা আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর হাজার-হাজার মানুষ প্রতিদিনই স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের পক্ষে মিছিল-সমাবেশ করছেন।
মঙ্গলবার বিকালে তেমনই এক বিশাল মিছিল দেখল আলফাডাঙ্গা উপজেলার মানুষ। দোলনের পক্ষে স্লোগানে-স্লোগানে প্রকম্পিত হয় মিছিলটি। বিশেষ করে ‘এমপি চাই এমপি চাই, দোলন ভাইকে এমপি চাই’ স্লোগানে মুখরিত হয় গোটা এলাকা।
আলফাডাঙ্গার পরিবহন বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে সদর বাজারের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর বাজার চৌরাস্তায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ফরিদপুর-১ আসনে দোলন পরীক্ষিত জননেতা। দুর্যোগে-সংকটে আর কাউকে পাওয়া না গেলেও দোলনকে পাওয়া যায়। তিনি সবসময় মানুষের কাছে থাকেন, মানুষের কাছে থাকেন।’
‘তাই এবার এমপি হিসেবে দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীর মানুষ দোলনকে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেবেন।’
এসময় বক্তারা গত দুই দশক ধরে ফরিদপুর-১ আসনে আরিফুর রহমান দোলনের জনসেবা ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এছাড়াও তারা তিন উপজেলায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাটসহ অবকাঠামোগত নানা উন্নয়নে দোলনের বহুমুখী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
বক্তারা আরও বলেন, আরিফুর রহমান দোলনই সংসদে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ্য। পরোপকারী ও নিরহঙ্কারী দোলন মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাই ফরিদপুর-১ আসনের সর্বস্তরের মানুষ ৭ জানুয়ারি স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. লিটন মৃধা, আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কদর, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সভাপতি সেকেন্দার আলম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য বিউটি বেগম, গোপালপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি হাসমত হোসেন কাজল, পৌর কাউন্সিলর হারুন অর রশীদ, পৌর কৃষক লীগের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রাজিব, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান।
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন। এছাড়াও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দোলনের পক্ষে মিছিলে যোগ দেন।