ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর সদর উপজেলার সালথা রোডের মুড়ারীদহ গ্রামের মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স ইটের ভাটায় অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে।
১৭ ই অক্টোবর শনিবার সকাল ৯ ঘটিকার দিকে একদল দুষ্কৃতিকারিরা এ হামলার ঘটনা ঘটায়। মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স ইটের ভাটার সত্ত্বাধীকারি রেহেনা বেগম এর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ বছর আগে মুড়ারীদহ গ্রামের মৃত সবদার শেখ এর পুত্র আকবর শেখ এর নিকট হতে ইটের ভাটা তৈরি করার জন্য একটি জমি বদল করা হয়। ঐ সময় আমার মালিকানা জমি থেকে সম পরিমান জমি দিয়ে তার নিকট হতে ইটের ভাটা তৈরি করার জন্য উক্ত জমিটি গ্রহন করি। পরে আমার মালিকানা জমিতে আকবর শেখ বসবাসের জন্য একটি আধা-পাকা বাড়ি তৈরি করে এবং তার নিকট হতে জমি নিয়ে আমি ইটের ভাটা তৈরি করি। কিন্তু বর্তমানে আকবর শেখ বদল করা জমি ফেরৎ চায় এমনকি আমার দেওয়া জমি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে। এরই জের ধরে উক্ত জমি ছেরে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি জমি ছেরে না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি প্রদান করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ ই অক্টোবর শনিবার সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকার দিকে আকবর শেখ এর নেতৃত্বে তার দুই ছেলে জামাল শেখ, আফজাল শেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ মিলে মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স ইটের ভাটার অফিসে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে জমি ছেরে দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেয় এবং ইটের ভাটার অফিস ভাংচুর করে।
এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে আমজাদ, সুমন, মাজেদকে মেরে রক্তাত্ব জখম করে। পরে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে হামলাকারিরা দ্রত পালিয়ে যায়। পরে রক্তাত্ব জখম অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রেহেনা বেগম বলেন, হামলাকারিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় অফিসে থাকা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকাসহ অফিসের কিছু মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আহতরা মারাত্বক জখম হয়েছে, সেরে উঠতে সময় লাগবে। এব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে জানার জন্য হামলাকারি জামালের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই দ্রুত এ ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মেসার্স মন্ডল ট্রেডার্স ইটের ভাটার সত্ত্বাধীকারি রেহেনা বেগম।