ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সদর বাজারের চৌরাস্তার পার্শ্বে বিল্ডিংয়ে দেয়াল গাথা কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চারজন আহত হয়েছে।আহতদের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছে আজ দুপুরে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা সদরের চৌরাস্তায় কয়েক মাস পূর্বে পুড়ে যাওয়া দোকান ঘরের স্থানে কয়েকজন ঘর মালিকদের সমন্বয়ে ১টি চার তলা মার্কেটের কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে এ ভবনের ১ম তলার কাজ সম্পূর্ণ করে দ্বিতীয় তলার কাজ চলছে। মার্কেটের নিচতলার সিড়ির পাশে সাহিদ কাজীর প্লটের শুরুতে সে দেয়ালের কাজ শুরু করে। এতে করে নূরুল ইসলাম সহ অন্যান্যদের মনোপুত না হওয়ায় নুরুল ইসলামের ভাই আফসার উদ্দিন বাধা দেয়। কথা ছিল ঐ স্থানে দেয়াল না দিকে গ্রাহকদের উপরের তলায় উঠতে সুবিধা হবে; কিন্তু সে কথা না মেনে সাহিদ কাজী দেয়াল গাথা শুরু করলে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ তর্কযুদ্ধের পরে সারা রাত ঘটনা দানা বাধে, এবং ৫ নভেম্বর সকালে নূরুল ইসলাম গং বাজারে এলেই তাদের উপরে হামলা চালানো হয় বলে তার ছোট ভাই ইয়াসিন আরাফাত এ প্রতিবেদক কে জানায়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়। আহত নূর ইসলাম, আফসার উদ্দিন ও তাদের ছোট ভাই ইয়াসিন আরাফাত কে ব্বধড়ক প্রহারের পর আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নূর ইসলাম এর আরেক ভাই সাহাজাহান শেখ বাদী হয়ে সাহিদ কাজী কে প্রধান অভিযুক্ত করে ছয় জনের নামে আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ্যাপোলো জেনারেল হাসপাতাল এর মালামাল ক্রয় করার জন্য নগদ তিন লাখ টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নূর ইসলাম ফরিদপুর যাওয়ার পথে চৌরাস্তায় অভিযুক্তরা হামলা করে টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাকেও মাথায় আঘাত করলে রক্তপাত হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাহিদ কাজী জানান, আমাকে তারা ভোর বেলা তিন ভাই মিলে পিটিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে আমরা তাদের উপর হামলা করি। তারা তিন ভাই আমার উপর যে আঘাত করেছে আমরা তার পাল্টা জবাব দিয়েছি। সাহিদ কাজী টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ওসি রেজাউল করিম নূরুল ইসলাম গংদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।