ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধঃ ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরহাজীগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা ফিরোজা পারভীন ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে একই শ্রেনীর ছাত্র জুবায়ের হোসেনকে শাসন করে বিপাকে পড়েছন বলে জানিয়েছেন। ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে ফেসবুক ও গণমাধ্যমের বিভিন্ন অনলাইনে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বুধবার ওই শিক্ষিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবী করে একটি লিখিত অভিযোগ পেশ করেছেন।
শিক্ষিকা জানান, গত ৩ নভেম্বর বিদ্যালয় চলাকালিন ৮ম শ্রেনীর ‘ক’ শাখার এক মেধাবী ছাত্রী তার কাছে অভিযোগ করে যে, একই শ্রেনীর ‘খ’ শাখার ছাত্র জুবায়ের হোসেন পাশের রুম থেকে ছুটে এসে ছাত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে। তাই বখাটে ছাত্র জুবায়ের হোসেনকে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার রুমে ডেকে নিয়ে অন্যান্য শিক্ষকের সামনে ওই ছাত্রর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে শাষিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হওয়ার কথা ভেবে ঘটনাটি চাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। তবে অভিযুক্ত ছাত্র জুবায়ের হোসেন জানায়, “স্কুলে সহপাঠীদের সাথে খেলা করার সময় ভুলবশত: এক ছাত্রীর আঘাত লাগে”।
কিন্ত ছাত্র জুবায়ের হোসেনের মামা পার্শ্ববতী উপজেলার “রামনগর নিউজ’’ নামক এক অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিক সোহেল মাহমুদ ও স্থানীয় একটি মহল মিলে প্রকৃত ঘটনাকে ঘুরিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ওই শিক্ষিকাকে নিয়ে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতী, ওই শিক্ষিকার স্বামী, সন্তান ও দেবরকে হুমকী দেয়া হচ্ছে এবং একটি মহল শিক্ষিকার চাকুরীচ্যুতি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যপারে বুধবার চরহাজীগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অবঃ ইঞ্জিনিয়ার নিজামদ্দিন জানান, “প্রকৃত ঘটনাটি খুজে বের করার জন্য বিদ্যালয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে”। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা বলেন,“শিক্ষিকার অভিযোগ হাতে পেয়েছি। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতী মনে হয়, মান সম্মানের কথা চিন্তা করে ওই ছাত্রী চেপে গেছে”।