ময়মনসিংহে পরিচয় গোপন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাতে র্যাব-১৪ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ভালুকার বিরুলিয়া গ্রাম থেকে মো. জাকির হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর ও নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ভুলুতা এলাকা থেকে মো. শহিদ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, ভালুকা উপজেলার কোল্লাবো গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. শাহিন শেখ ও একই এলাকার আকবর আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন ওরফে জাহাঙ্গীর।
র্যাব বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সুমন নামে এক যুবক পরিচয় গোপন করে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৮ জানুয়ারি সকালে ভুক্তভোগী বই আনতে স্কুলে যায়। পরে স্কুল থেকে ফেরার পথে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিয়ের প্রলোভনে তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান সুমন। এ সময় প্রথমে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ভালুকা ও পরে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ময়মনসিংহে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরার পর সুমন ভুক্তভোগীকে গফরগাঁও নিয়ে যান। পরে রাত হয়ে গেলে অটোরিকশায় করে তাকে ভালুকার রাজৈর ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সেখানে খোলা মাঠে নিয়ে সুমন ও তার চার বন্ধু মিলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে ভোরে ভুক্তভোগীকে ফেলে চলে যায় সুমন ও তার সহযোগীরা।
র্যাব-১৪-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও মিডিয়া অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গত ১০ জানুয়ারি দুপুরে প্রেমিক সুমনসহ চারজনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামি জাহাঙ্গীর ও শহিদ শেখকে গ্রেপ্তারের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।