মোঃ রাসেল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে এক প্রভাবশালীর ক্ষমতার দাপটে যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার ভিটাবাড়ী ও সরকারী খাস জমি দখল করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ।
যোদ্ধাহত বীর মুক্তীযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বলেন,উপজেলার হানুয়ার গ্রামের মোবারকপুর মৌজায় ৪৭ নং দাগে ১৮শতক খাস জমি আছে, উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্য সূত্রে জমিটির ২ শতক মালিকনা জেলা পরিষদের। এই জমির মধ্যে ১শতক আব্দুস সাত্তার ও ৩শতক নুরুল হকের নামে রেকর্ড হয়। প্রভাবশালীরা ১৮শতক জমির সবটুকু দখল করে আছে। দখলকৃত ১৮শতক জমিতে ১৭ টি পাকা ঘর করে ভাড়া দিয়েছে এবং বাকী জমি ভিতরে বাগান করে রেখেছে।
এ দিকে একই মৌজার ৪২/৪৩ নং দাগে যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের গং পৌত্রিক সাড়ে ৪ শতক জমি আছে।সেখানে তিনি রাজগঞ্জ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস বানানোর জন্য নিমার্ন কাজ শুরু করলে ঐ প্রভাবশালীরা বাধা সৃষ্টি করে ৷ এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন কয়েকবার শালিস ডাকার পরও প্রভাবশালীরা কেউ উপস্থিত হয়নি। এদিকে ছোট পুত্র মাজহরুল ইসলাম সহকারি জজ হিসাবে কর্মরত বাগেরহাট জেলায়।তিনি এই জমির সীমান নির্ধারন নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন মর্মে ০৩/০১/২০২০ তারিখে ভুক্তভোগী যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন ,বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ ,আইন মন্ত্রালয়, সুপ্রীম কোর্ট ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ৷
এব্যাপারে প্রভাবশালী পুত্র আয়নালের কাছে জানতে চাইলে ,তিনি বলেন,আমি মাঠ ঘাট আর পশু ডাক্তারী করে ব্যস্থ থাকি আমি কিছু বলতে পারবো না সব মাজহারুল জানে ৷ যুদ্ধহত মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন আরো জানান,যুদ্ধকরে দেশ স্বাধীন করে আমি প্রভাবশালী ছেলেদের কাছে পরাস্থ হচ্ছি ৷ আমি সংশ্লিষ্টি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করে মোবারকপুর মৌজার ৪৭নং ও ৪২/৪৩ নিজ দাগের নিজ জমির প্রশাসনিক তদন্ত মাধ্যমে সুষ্ঠ সমাধান চাই।