লক্ষ্মীপুরে চাচা হারুনুর রশিদকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে ভাতিজা আরিফ হোসেন রুবেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন এ রায়ের বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে আরিফ হোসেন রুবেল তার চাচা হারুনুর রশিদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। আদালতে রুবেল দোষী সাব্যস্ত হলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ভিকটিম হারুনুর রশিদ সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আবদুর রহিম ডাক্তার বাড়ির আবু জাফরের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আরিফ হোসেন রুবেল একই বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। রায়ের সময় আসামি রুবেল আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রুবেলের চাচা হারুনুর রশিদ মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। তিনি দেশে থাকার সময় রুবেলের সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। বিদেশ থেকে বাড়িতে আসার পর ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রুবেল তার চাচা হারুনুর রশিদকে তার ঘরে ঢুকে পেটে এবং শরীরের একাধিক স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে তার পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়।
এ সময় গুরুতর আহত হারুনুর রশিদকে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে হারুনুর রশিদ মারা যায়।
এ ঘটনায় পুলিশ আরিফ হোসেন রুবেলকে আটক করে এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করে। সেই দিনই নিহতের স্ত্রী নাজমুন নাহার সুইটি এ ঘটনায় তার ভাশুরের ছেলে আরিফ হোসেন রুবেলকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হান্নান অভিযুক্ত আসামি আরিফ হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই মামলায় আদালত আজ আসামি রুবেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।